বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলো মনে রাখার সহজ কৌশল
ব্যাকরণ শিখতে যে বিষয়গুলো জানা অত্যাবশ্যক তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শব্দ। প্রতিটি ভাষার চারটি উপাদান থাকে,যথা-ধ্বনি,শব্দ,বাক্য এবং অর্থ। ধ্বনি যখন বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে কোনো অর্থবোধক ভাব প্রকাশ করে তাকেই শব্দ বলে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি অর্থপূর্ণ ধ্বনির সমষ্টি লিখে প্রকাশ করলে যা পাওয়া যায় তাই-ই শব্দ। প্রত্যেক ভাষায় নিজস্ব ভাব প্রকাশের জন্য আলাদা শব্দ থাকে। শব্দগুলো অর্থগত দিক থেকে এক হলেও গাঠনিক ও উচ্চারণগত দিক থেকে ভিন্ন। যেমনঃ বাংলা ভাষায় আমরা "বই" বলতে যা বুঝি ইংরেজিতে "Book" বলতেও ঠিক একই জিনিস বুঝায়,শুধু উচ্চারণ, বর্ণ ও গঠন ভিন্ন। বাংলা ভাষায় জ্ঞান অর্জনের শুরুতেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও এর শব্দ সমাহার সম্পর্কে জানতে হয়। বাংলা সাহিত্যে আমরা যে কবি-সাহিত্যিকদের দেখি তাদের সাহিত্যকর্মে ব্যবহৃত শব্দগুলো কিন্তু সবই বাংলা ভাষার নিজস্ব না। আমরা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে সংস্কৃতের ছাপ ও নজরুলের সাহিত্যে আরবি-ফারসি ভাষার ছাপ খুব বেশি লক্ষ্য করি। মূলত বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে বাংলা শব্দ ছাড়াও রয়েছে অন্য ভাষার নানারকমের শব্দ যা ব্যবহার হতে হতে এখন পুরোপুরি বাংলা ভাষার সম্পত্তিরূপে স্থান নিয়েছে। পন্ডিতগণ বাংলা ভাষার শব্দভান্ডারকে ৫ ভাগে ভাগ করেছেন,তাদের মতে বাংলা ভাষায় আমরা যে শব্দ ব্যবহার করি তা আসলে ৫ ধরনের উৎস থেকে আগত। ভাগ গুলো হচ্ছেঃ তৎসম(শতকরা ২৫ ভাগ),অর্ধ-তৎসম(শতকরা ৫ ভাগ),তদ্ভব(শতকরা ৬০ ভাগ) ,দেশি(শতকরা ২ ভাগ) ও বিদেশি(শতকরা ৮ ভাগ)। বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সংস্কৃত শব্দ,তাই অনেকেই মনে করেন বাংলা ভাষার উৎপত্তি সংস্কৃত থেকে,অনেকে ভাবেন বাংলা হচ্ছে সংস্কৃতের কন্যা। আমাদের আজকের ব্লগের মূল বিষয় বাংলায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দ ও তাদের আগমনস্থান কিভাবে সহজে মনে রাখা সম্ভব। তো শুরু করা যাক আজকের মূল বিষয়। বিদেশি শব্দ হচ্ছে সেইসব শব্দ যা অন্য দেশের ভাষা থেকে আগত। এরূপ শব্দ আমরা প্রতিদিন দেখি এবং ব্যবহার করি,কিন্তু এদের মূল অনেকেরই অজানা। ব্যাকরণ পাঠের সময় শব্দের উৎপত্তিস্থলের এ বিষয়টি খুব জরুরি। কেন বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ ঢুকলো? এর একটি মূল কারণ হচ্ছে যুগে যুগে বাংলায় আসা বিদেশি ঔপনিবেশিক শক্তি। বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশের যোগাযোগ সেই প্রাচীন কাল থেকে রয়েছে। ব্যবসা,ধর্ম প্রচার ইত্যাদি নানা কারণে বহুকাল আগে থেকে ভিনদেশীরা বাংলাদেশে যাতায়াত করেছে। পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও ভাব বিনিময়ের জন্য তারা নানা শব্দ ব্যবহার করতো,হয়তো তখন থেকে বাঙালীরাও তাদের থেকে সেই ভাষা বুঝে রপ্ত করে নিজেরা ব্যবহার শুরু করেছিল। এমনিভাবেই বিদেশি বহু শব্দ বাংলা ভাষায় কখনো বিকৃত,কখনো অবিকৃত বা কখনো আংশিক পাল্টে বাংলায় প্রবেশ করেছে। এরপর এগুলো এমনভাবে মিশে গেছে যে সেগুলো বাংলা থেকে পৃথক করা সম্ভব হয়নি। বাংলা ভাষায় যেসব বিদেশি শব্দ দেখা যায় তার মধ্যে আরবী,ফারসি আর ইংরেজিই বেশি। আরবী ও ফারসি বেশি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে এদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার। অনেক আগে থেকে এই দেশে আরব দেশগুলো থেকে ধর্ম-প্রচারকরা আসতো বাংলাদেশে। তাদের মুখে মুখে ব্যবহৃত হওয়া আল্লাহ,কিয়ামত,জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি ধর্মীয় শব্দ বাংলা ঢুকে গেছে। শুধু ধর্মীয় না,এর পাশাপাশি ঢুকেছে অনেক সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক শব্দও। আর ইংরেজি শব্দ সবচেয়ে ঢুকেছে গত ২০০ বছরে,বৃটিশ শাসনামলে। তখন ইংল্যান্ডের ধর্মযাজক,শাসক,লাট,সৈন্য ইত্যাদি লোকেদের বাংলায় আগমন ছিল অহরহ। এই তিন ভাষা ছাড়াও আরো অনেক ভাষা থেকে বাংলায় শব্দ এসেছে,সেগুলো আসার প্রকৃত কারণ হয়তো ব্যবসা-বাণিজ্যই। এর মধ্যে পর্তুগিজ, তুর্কি,ওলন্দাজ,জাপানী,গুজরাটি,পাঞ্জাবি ইত্যাদি শব্দ রয়েছে। এবার বহুল ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলো কোনটি কোন দেশের তা জেনে নেওয়া যাক,আর সেগুলো কিভাবে অতি সহজেই মনে রাখা সম্ভব তাও জেনে নেওয়া যাক।
বাংলা ভাষার বিদেশি শব্দ ভান্ডার
১. আরবী শব্দঃ বাংলায় ভাষায় ব্যবহৃত আরবী শব্দগুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলোঃ ধর্মসংক্রান্ত শব্দ ও প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ।
⏩ ধর্ম সংক্রান্ত শব্দগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলো হচ্ছেঃ আল্লাহ্ ,ইসলাম ,ঈমান ,ওজু ,কুরবানী,কুরআন ,কিয়ামত ,গোসল ,জান্নাত ,জাহান্নাম ,তওবা ,তসবি ,জাকাত ,হজ ,হাদিস ,হারাম ,হালাল ইত্যাদি।
শব্দগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শব্দগুলোও ইসলামের বিষয়গুলোই বর্ণিত। ধারাক্রমিক ছন্দে আমরা এটি মনে রাখতে পারি খুব সহজেই। দেখে নেওয়া যাকঃ
➾ মনে রাখার কৌশলঃ আল্লাহ-ইসলাম-ওজু-গোসল-ইমান-কুরআন-হাদিস-হারাম-হালাল-কিয়ামত-জান্নাত-জাহান্নাম-জাকাত-হজ-কুরবানী-তওবা-তসবি।
➾ ব্যাখ্যাঃ আমরা এখন এই ছন্দটিকে বিশ্লেষণ করে দেখব। এটিকে বর্ণনা করলে দাড়ায়ঃ আল্লাহ্ ইসলাম দান করেছেন। ওজু-গোসল করে পবিত্র হয়ে ইমান আনতে হয়। এরপর ইমান এনে কুরআন হাদিস পড়ে হারাম,হালালের পার্থক্য জানা যায়। এছাড়াও কিয়ামতের দিন ভালো কাজের জন্য জান্নাত এবং মন্দ কাজের জন্য জাহান্নামে পাঠানো হবে। এইসব পাঠের পর লোকসকল জাকাত,হজ,কুরবানী ইত্যাদি ইবাদত শুরু করলো এবং সকল পাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে তসবী পাঠে মগ্ন হলো।
⏩ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলো হচ্ছেঃ আদালত ,
আলেম , ইনসান ,ঈদ ,উকিল ,ওজর ,এজলাস ,এলেম ,কানুন ,কলম ,কিতাব ,কেচ্ছা ,খারিজ ,গায়েব ,দোয়াত ,নগদ ,বাকি ,মহকুমা ,মুন্সেফ ,মোক্তার ,রায়,মামলা ইত্যাদি।
সাধারণ ছন্দ ব্যবহার করেই এটি মনে রাখা সম্ভব। দেখা যাক তবেঃ
➾ মনে রাখার কৌশলঃ আদালতের এজলাসে উকিল,মোক্তার,মুন্সেফ এক আলেমের কেচ্ছা-ওজর না শুনে কানুন দেখে দোয়াত-কলম দিয়ে মামলা খারিজ না করে নগদ রায়ে শাস্তি দিলেন। এতে মহকুমার বাকি কেতাব জানা আলেম এলেম নিয়ে ইনসান সমাজ থেকে গায়েব হয়ে গেলেন। এরপর থেকে তাদের শুধু ঈদের দিন দেখা যেত।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে ছন্দটিতে একটি সাজানো ঘটনা বলা হয়েছে যেখানে উক্ত সব শব্দগুলো বিদ্যমান। আন্ডারলাইন করা শব্দগুলোই হলো মূল শব্দ যা আমাদের মনে রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে,এখানে "আলেম" শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হওয়ায় শুধু প্রথমবার আন্ডারলাইন করে দেখানো হয়েছে।
[মূলত ইসলামিক বিষয়গুলোর প্রায় সবই আরবী ভাষা থেকে আগত]
২. ফারসি শব্দঃ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলায় ২৫০০ শব্দ প্রবেশ করেছে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ফারসি শব্দগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ ধর্মসংক্রান্ত শব্দ ,প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ এবং বিবিধ শব্দ।
⏩ ধর্ম সংক্রান্ত শব্দগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলো হচ্ছেঃ খোদা ,গুনাহ ,দোজখ ,নামাজ ,পয়গম্বর ,ফেরেশতা ,বেহেশত ,রোজা ইত্যাদি।
শব্দগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শব্দগুলোও ইসলামের বিষয়গুলোই বর্ণিত। আরবী শব্দের মতো এটিতেও ধারাক্রমিক ছন্দে আমরা এটি মনে রাখতে পারি। দেখে নেওয়া যাকঃ
➾ মনে রাখার কৌশলঃ খোদা-ফেরেশতা-পয়গম্বর-নামায-রোজা-বেহেশত-গুনাহ-দোজখ।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে খোদা আগে ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন,তারপর মানুষ সৃষ্টি করে পয়গম্বর নির্বাচন করেছেন,তাই পয়গম্বরের আগে ফেরেশতাকে বসানো হয়েছে। এরপর পয়গম্বর এসে মানুষকে বলেন নামায,রোজা করলে পাওয়া যায় বেহেশত,আর গুনাহ করলে যেতে হয় দোজখে।
⏩ লক্ষ্যণীয় পার্থক্যঃ আরবিঃ আল্লাহ্ ,জান্নাত ,জাহান্নাম।
ফারসিঃ খোদা ,বেহেশত ,দোজখ।
⏩ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলো হচ্ছেঃ কারখানা ,চশমা ,জবানবন্দি ,তারিখ ,তোশক ,দফতর ,দরবার ,দোকান ,দস্তখত ,দৌলত ,নালিশ ,বাদশাহ ,বান্দা ,বেগম ,মেথর ,রসদ ইত্যাদি।
সাধারণ ছন্দ ব্যবহার করেই এটি মনে রাখা সম্ভব। দেখা যাক তবেঃ
➾ মনে রাখার কৌশলঃ দেশের চশমা ও তোশকের কারখানার রসদ দোকানে দেওয়ার তারিখে এক মেথর বেতনের জন্য বাদশাহের দরবারে নালিশ করলো। বাদশাহ তার দৌলত ও বেগমদের নিয়ে জবানবন্দি শুরু করলেন। এতে দফতর হতে বান্দাগণ দস্তখত হলো।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে ছন্দটিতে একটি সাজানো ঘটনা বলা হয়েছে যেখানে উক্ত সব শব্দগুলো বিদ্যমান। আন্ডারলাইন করা শব্দগুলোই হলো মূল শব্দ যা আমাদের মনে রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে,এখানে "বাদশাহ" শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হওয়ায় শুধু প্রথমবার আন্ডারলাইন করে দেখানো হয়েছে।
⏩ বিবিধ শব্দগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলো হচ্ছেঃ আদমি ,আমদানি ,জানোয়ার ,জিন্দা ,নমুনা ,বদমাশ ,রফতানি ,হাঙ্গামা ইত্যাদি।
➾ মনে রাখার কৌশলঃ আমদানি-রফতানি নিয়ে জিন্দা জানোয়ার নমুনার বদমাশ আদমিরা হাঙ্গামা শুরু করলো।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে ছন্দটিতে একটি সাজানো ঘটনা বলা হয়েছে যেখানে উক্ত সব শব্দগুলো বিদ্যমান। আমদানি ও রফতানি দুইটি বিষয় নিয়ে জিন্দা(জীবিত) জানোয়ারের নমুনা(মতো,ন্যায়) আদমিরা(মানুষ) হাঙ্গামা শুরু করলো। আন্ডারলাইন করা শব্দগুলোই হলো মূল শব্দ যা আমাদের মনে রাখতে হবে।
৩. ইংরেজি শব্দঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ইংরেজী শব্দ প্রধানত দুই প্রকারের। একটি হচ্ছে ইংরেজির উচ্চারণের মত,আরেকটি পরিবর্তিত উচ্চারণ। পরিবর্তিত উচ্চারণের মধ্যে আছেঃ আফিম(opium) ,বোতল(bottle) ,অফিস(office) ,ইস্কুল(school) ,বাক্স(box) ,হাসপাতাল(hospital) ইত্যাদি। মূলত ইংরেজি আন্তর্জাতিক ও আমাদের দ্বিতীয় প্রধান ভাষা হওয়ায় এটি প্রায় সকলেই জানি। এজন্য আলাদাভাবে মনে রাখার কৌশলের প্রয়োজন পড়ে না।
৪. পর্তুগিজ শব্দঃ বাংলা ভাষায় একশ থেকে একশ দশটির মতো পর্তুগিজ শব্দ আছে। যেমনঃ আনারস,আলপিন,আলমারি ,গির্জা ,গুদাম ,চাবি ,পাউরুটি ,পাদ্রি ,বালতি ইত্যাদি।
➾ মনে রাখার কৌশলঃ গুদামের চাবি খুলে আনারস আর পাউরুটি নিয়ে পাদ্রি গির্জায় গেলেন। তারপর বালতিতে কিছু আলপিন নিয়ে আলমারি ঠিক করলেন।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে ছন্দটিতে একটি সাজানো ঘটনা বলা হয়েছে যেখানে উক্ত সব শব্দগুলো বিদ্যমান। আন্ডারলাইন করা শব্দগুলোই হলো মূল শব্দ যা আমাদের মনে রাখতে হবে।
৫. ফরাসি শব্দঃ কার্তুজ ,কুপন ,ডিপো ,রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।
➾ মনে রাখার কৌশলঃ কার্তুজ ডিপো রেস্তোরাঁর কুপন বেরিয়েছে।
➾ ব্যাখ্যাঃ এখানে ছন্দটিতে একটি সাজানো ঘটনা বলা হয়েছে যেখানে উক্ত সব শব্দগুলো বিদ্যমান। আন্ডারলাইন করা শব্দগুলোই হলো মূল শব্দ যা আমাদের মনে রাখতে হবে। উল্লেখ্য,এখানে শব্দগুলোর মূল অর্থের ভিত্তিতে মিলিয়ে না লিখে মনে রাখার সুবিধার্তে কেবল ছন্দের সাহায্য লেখা হয়েছে। যেমনঃ কার্তুজ অর্থ বন্দুকের টোটা কিন্তু এখানে সেটি বোঝানো হয়নি।
৬. অন্যান্যঃ উল্লেখিত ভাষা ছাড়াও আরো অনেক ভাষার শব্দ বাংলায় আছে যা অতি নগণ্য।
➾ মনে রাখার কৌশলঃ যেহেতু শব্দগুলো সংখ্যায় খুবই অল্প তাই শব্দগুলোর সাথে ভাষার নামও জুড়ে দেওয়া জরুরি যাতে সহজেই মনে থাকে।
i. খদ্দর হরতালে অচল গুজরাট। (গুজরাটি শব্দ)
ii. পাঞ্জাবি শিখদের চাহিদা কম। (পাঞ্জাবি)
iii. তুর্কি চাকর তোপের মুখে দারোগা-কে চাকু মারলো। (তুর্কি)
iv. চীনা-রা চা তে চিনি কম খায়। (চীনা)
v. বার্মিজ লুঙ্গি ও ফুঙ্গি বিখ্যাত। (বার্মিজ)
vi. হারিকিরি রিক্সাটা জাপানী। (জাপানী)
এখানে বোল্ড হরফে ভাষার নাম আর আন্ডারলাইন করে তার শব্দগুলো বোঝানো হয়েছে।
৭. একটি-দুটি করে শব্দঃ অস্ট্রেলিয়া-ক্যাঙ্গারু ; ইতালি-ম্যাজেন্টা ; জার্মানি-ফ্যুরার ; তিব্বত-লামা ; দক্ষিণ আফ্রিকা-জেব্রা ; পেরু-কুইনাইন ; মালয়-কিরিচ,কাকাতুয়া ; রুশ-বলশেভিক ; গ্রিক-কেন্দ্র,দাম।
সুতরাং,উক্তরূপে খুব সহজেই বাংলায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলো মনে রাখা সম্ভব।
ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন এবং শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ❤ মনে রাখার কৌশল গুলো বেস্ট ছিল❤🔥🔥
ReplyDelete❤❤
Delete